ডিউক বল নিয়ে তদন্ত করবেন, এমন কথা শুনে বিস্মিত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক
অ্যাশেজে ওভাল টেস্টে বলবদল বিতর্কে এবার নতুন মোড়। ডিউক বলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক বলের তদন্ত করবেন বলে যে খবর বেরিয়েছিল, সেটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। বরং, ওভাল টেস্টে হেরে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াই অপ্রয়োজনীয়ভাবে ‘নাটক’ তৈরি করছে বলে দাবি তাঁর। গত সপ্তাহে শেষ হওয়া অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৩৭তম ওভারে বল বদল করেছিলেন আম্পায়াররা। নিয়মানুযায়ী আগের বলে যত ওভার খেলা হয়েছে, তার কাছাকাছি ওভার ব্যবহার হয়েছে এমন বল দিতে হয়। অস্ট্রেলিয়ানদের অভিযোগ, বদলানো বলটি কোনোভাবেই অতটা পুরোনো ছিল না। যে কারণে ইংল্যান্ডের পেসাররা সুইংয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। বিনা উইকেটে ১৪০ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া যে শেষ পর্যন্ত ৩৩৪ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে, তার পেছনে বল বদলের ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বল বদলের বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে অভিযোগ করেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন ধারাভাষ্যে থাকা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিংও। এরপর ২০১৮-১৯-এর দিকে তৈরি করা ডিউক বল দিয়ে খেলানো হয়েছে কিনা, এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগও ওঠে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ কর্প’ ডিউক বলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলীপ জাজোদিয়ার একটি মন্তব্য প্রকাশ করে। যেখানে ব্রিটিশ ভারতীয় এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি নিজেই এটা তদন্ত করব। আমার সুনাম নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।’
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্যটি অস্বীকার করেছেন জাজোদিয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি এভাবে বলিনি যে তদন্ত করতে চাই। আমাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে অ্যাশেজ আইসিসির প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া আয়োজক দেশের বোর্ড, মাঠ কর্তৃপক্ষও এই সিরিজের সঙ্গে জড়িত। তাদের বাইরে গিয়ে বল প্রস্তুতকারক কোম্পানির মালিকের তদন্ত করার এখতিয়ার নেই বলে জানান জাজোদিয়া, ‘তদন্ত করার আমি কে? আমার তো এই এখতিয়ার নাই। এ নিয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা আছে একমাত্র আইসিসির। এটা আইসিসির প্রতিযোগিতা। আমি শুধু এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারি। হ্যাঁ, বলের বিষয়টা নিয়ে আমিও আগ্রহী। একটা পর্যায়ে গিয়ে আমিও প্রশ্ন করব, বলের ব্যাপারে কী ঘটেছে? তবে আমি যত দূর জানি বক্সের সব বল ২০২৩ সালের, ২০১৯ সালের বল থাকতে পারে না। কারও কাছেই ২০১৯ সালের বল নেই।’